বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
প্রতিদিন ডেস্কঃ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। গণভোট কখন হবে তা নিয়ে নতুন করে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির পরস্পরবিরোধী অবস্থানে এ উত্তাপের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের। আর এনসিপি বলছে গণভোট যে কোনো সময় হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থান ও ঐকমত্য কমিশনের কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তীব্র হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তারা এখন এমন প্রস্তাব দিয়েছে, যা জাতিকে বিভক্ত করবে, অনৈক্য সৃষ্টি করবে। এর ভিত্তিতে কোনো ঐকমত্য হবে না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ।
দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট এটির সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। এ ব্যাপারে আর আলোচনা করার সুযোগ নেই।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের তারিখ ঘোষণায় যত দেরি হবে, জাতীয় নির্বাচন তত সংকটের মধ্যে পড়বে। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গণভোট নিয়ে দেশে অনেক তর্কবিতর্ক চলছে; এটি আগে হবে না পরে হবে।
আমরা তর্কবিতর্কে যাব না। আমরা মনে করি গণভোট যে কোনো সময় হতে পারে, তবে তা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় হওয়া প্রয়োজন।